
আজ সবচে বেশি অবাক হয়েছি, যখন দেখলাম আমির জাকির মুসা শহিদ (ইনশাআল্লাহ)-এর জন্ম হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। শাহাদাতের সময় তার বয়স হয়েছিল মাত্র ২৫ বছর। আল্লাহ যাকে তার দীনের জন্য কবুল করেন, অল্প বয়সেই কীভাবে তাকে দীনের মহান খেদমতে নিয়োজিত করেন! মুহাম্মাদ বিন কাসিম থেকে শুরু করে হামজা বা জাকির মুসা - প্রত্যেককেই আল্লাহ দান করেছেন কী সুমহান মর্যাদা!
কত প্রবীণ যোগ্যতার পাহাড় হয়ে বসে থাকে, কিন্তু আল্লাহ হয়তো তার দ্বারা খুব বেশি কাজ নেন না। আবার কত নবীন বাহ্যদৃষ্টিতে তত বেশি যোগ্যতার অধিকারী নয়, এতদসত্ত্বেও আল্লাহ তার দ্বারা কত মহান ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ নেন। বস্তুত এটা আল্লাহর অনুগ্রহ। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন, দান করেন।
সায়্যিদ আহমদ শহিদ বেরেলবি রহ. উস্তাদের সামনে বই খুলে বসলে চোখে কোনো পড়াই দেখতে পেতেন না। এই যুগে এমনটা হলে তাকে মিথ্যা দোষারোপ করে তার পিঠে কয়েকটা বেত ভাঙা হতো। কিন্তু শাইখ যদি হয় আবদুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলবির মতো দূরদর্শী, তাহলেই তো তার হাত ধরে গড়ে উঠতে পারে সায়্যিদ আহমদ বেরেলবি। কত সালাহুদ্দীন আইয়ুবি আজকের যুগেও পড়ে আছে সমাজের বিভিন্ন প্রান্তে, কিন্তু নুরুদ্দীন জঙিরা না থাকলে কে গড়ে তুলবে তাদের! বারুদের সঙ্গে বারুদ ঘষা না খেলে আগুন জ্বলবে কী করে! বাহ্যিক ইলমে সায়্যিদ আহমাদ শহিদদের চাইতে অনেক বড় বড় হাস্তি দুনিয়াতে ছিল, কিন্তু আল্লাহ তো সবার দ্বারা সব কাজ নেন না। মাকবুল তো সে, যার ক্ষুদ্র জীবনকে আল্লাহ তাঁর দীনের জন্য কবুল করেন।
গাজী ইলমুদ্দীন শহিদের কথাই বলি কিংবা বলি শহিদ জাকির মুসা'দের কথা। তাদের বাহ্যিক জ্ঞানগরিমা হয়তো আহামরি পর্যায়ের ছিল না, কিন্তু তাদের ভেতরে উম্মাহর জন্য দরদ ছিল, দীন কায়েমের অভিপ্রায় ছিল, নামুসে রিসালাতের প্রতি আপসহীন ভালোবাসা ছিল; যার ফলে আল্লাহ তাদেরকে ক্ষণকালীন জীবনেই দান করেছেন অমরত্ব।
'তারা বলল, কুরআন কেন দুই জনপদের কোনো মহান ব্যক্তির ওপর অবতীর্ণ হলো না! তবে কি তারা আপনার প্রতিপালকের রহমত বণ্টন করছে!'
ইবরাহিমের (আ.) মতো তরুণ, মুআজ আর মুআওয়াজের মতো কিশোর আর মুসা ও ইসার (আ.) মতো শিশুদের দ্বারাও আল্লাহ এমন কিছু প্রকাশ করেন, যুগ থেকে যুগান্তরে যা মানুষের জন্য জীবনের মহান শিক্ষা বয়ে বেড়ায়।
------আলী হাসান উসামা
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন