সারা পৃথিবীতে প্যাগান বিলিফ সিস্টেমের পুনর্জাগরন আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই অবস্থা মূলত এ মুহূর্তে প্রয়োজন মিথ্যা মসীহের মিথ্যা রুবুবিয়্যাতকে মেনে নেওয়ানোর জন্য। এজন্য আজকে প্যাগান স্পিরিচুয়ালিটির দিকে সারা পৃথিবীকে ঝুকে পড়তে দেখা যাচ্ছে। আমেরিকায় ওয়াননেসের(ওয়াহদাতুল উজুদ) আহব্বান/ইনফিনিট লাভ রিলিজিয়নের ছড়াছড়ি। এমনকি নায়ক-নায়িকা গায়িকারাও এ পথে আহব্বান করে।
তাদের বিশ্বাস ব্যবস্থার সত্যতার সবচেয়ে বড় দলিল হচ্ছে 'চেতনার ওপারের' অভিজ্ঞতা অথবা অল্টার্ড স্টেইট অব কনসাসনেস[১৮]। এটা সেই মিস্টিক্যাল অনুভূতি যার জন্য অনেক সংগঠন ধ্যান-যোগসাধনার দিকে আহব্বান করে।

চেতনার অপরদিকের অভিজ্ঞতা লাভের পর অজস্র হার্ডকোর নাস্তিকও থেইজমে ফিরে আসার নজির আছে। এটা এমন এক অভিজ্ঞতা যেটা অর্জনের পর প্যাগান স্পিরিচুয়ালিটির সত্যতাকে অস্বীকার করা কষ্টকর হয়ে যায়। এ অভিজ্ঞতা লাভের পথ অনেক। গভীর ধ্যান সবচেয়ে সস্তা পথ। একটু খরচার পথও খোলা আছে। বিভিন্ন সাইকাডেলিক ড্রাগ(এলএসডি/ফিলোসাইবিন/ডিএমটি/সাইকাডেলিক ম্যাজিক মাশরুম/আয়োহুয়াস্তকা ইত্যাদি) খুব সহজেই এই অভিজ্ঞতার দ্বারে নিয়ে যাবে। আরো ব্যায়বহুল পথও আছে। সেন্সরি ডিপ্রাইভেশন চেম্বার[১১] বা আইসোলেশন চেম্বার। ১২ ইঞ্চি লবন পানির স্তরের অন্ধকার চেম্বারে শুয়ে থাকলেই হবে। সাব্জেক্ট কয়েক মিনিটের মধ্যেই সমস্ত সচেতন অনুভূতিগুলো অচেতন হয়ে যাবে এবং অজানা জগতে প্রবেশ করবে। অনেকে বিষাক্ত প্রানীর বিষের(যেমন জেলিফিশ) প্রভাবেও ওই অনুভূতি লাভ করেছে শোনা যায়। এটা কাউকে NDE এর অভিজ্ঞতা দান করে। অল্টার্ড স্টেইট অব কনসাসনেসে সবাই যে একই রকম অভিজ্ঞতা লাভ করবে,তেমনি নয়। সবচেয়ে সাধারন(কমন) অভিজ্ঞতা হচ্ছে একটা স্বপ্নিল ঘোরে পৌঁছানো, যেটা আলো দ্বারা পরিপূর্ন। সমস্ত বস্তুর রঙ খুব উজ্জ্বল এবং মনে হয় সেসব থেকে আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছে। সমস্ত বস্তুকে যেন ভেদ করে যাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ সমস্ত বস্তুই যেন ননসলিড পেনেট্রেবল এনার্জি। অসংখ্য স্পাইরাল,ফ্র্যাক্টাল ইনফিনিট প্যাটার্ন,বিভিন্ন জিওমেট্রিক স্ট্রাকচার ইত্যাদি। এই অভিজ্ঞতা লাভকারী সমস্ত বস্তু এবং নিজের ব্যক্তি স্বত্ত্বার মধ্যে একটা বন্ধন অনুভব করে যেটা মহাবিশ্বের সর্বত্র বিস্তৃত। একধরনের অকৃত্রিম ভালবাসার যেন সমস্ত বস্তুকে ছেয়ে আছে। এরকম অবস্থায় গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সমস্তকিছুকে সচেতন বলে মনে হয়। অর্থাৎ যেন সব কিছুর জীবন আছে। নিজেকে মহাবিশ্বের একপ্রাণ বা একস্বত্ত্বার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে হয়। এক পিউর ওয়াননেসের(ওয়াহদাতুল উজুদ) অনুভূতি। এ অনুভূতি ওই অভিজ্ঞতালাভকারী ব্যক্তি স্বত্ত্বাকে এই সৃষ্টিজগতের Co-Creator(সহযোগী স্রষ্টা) বা নিজেকে ডিভাইন বা সরাসরি সৃষ্টিকর্তা ভাবতে বাধ্যকরে। এমনও হয়েছে যে কোন সাইকাডেলিক ড্রাগ গ্রহণকারী এমন দেখেছে যে গাছপালা যেন তার সাথে কথা বলছে[১৭]। অকৃত্রিম ভালবাসা আশির্বাদ করছে। মিস্টিক/অকাল্টিস্টদের ভাষায় এই অভিজ্ঞতার জগত হচ্ছে ইনার স্পেস বা স্পিরিচুয়াল রেল্ম। অনেকে এটাকে হায়ার ডাইমেনশনাল জার্নি, সাইক্যাডেলিট ট্রিপ বলে।

এ অভিজ্ঞতা গভীর প্রকৃতিবাদ এবং সর্বেশ্বরবাদের দিকে অভিজ্ঞতা অর্জনকারীকে নিয়ে যায়। এ বিশ্বাস বা আকিদা হৃদয়ে গভীরভাবে প্রোথিত হয়। আব্রাহামিক ধর্মের কোন টিতে থাকলে সেটার উপর আর বিশ্বাস থাকে না। কারন তারা নিজেদের অভিজ্ঞতায় বিপরীত মতাদর্শের সত্যতাকে চোখে দেখে। এ অভিজ্ঞতা যাদুশাস্ত্রকেন্দ্রিক মিথ্যা কুফরি আকিদাকে অনেক শক্ত করে। যাদুকররা এ অভিজ্ঞতা লাভের দরুন বলত, স্রষ্টার সাথে এক(সংযোগ/সান্নিধ্য) হতে কোন ধর্ম লাগে না। খ্রিষ্টান ইহুদী কিংবা মুসলিম হবার কোন প্রয়োজন নেই।খ্রিষ্টান ডমিনেটেড শতকে খ্রিষ্টানরা যখন এরূপ অখ্রিষ্ট্রান ধর্মদ্রোহীতামূলক কথা যাদুকরদের থেকে শুনলো, তাদেরকে ধরে ধরে কচুকাটা করতে লাগলো। হাজারো ডাকিনী বিদ্যা চর্চাকারীদেরকে পুড়িয়ে মারারও ঘটনা বিগত হয়েছে।
এই মিস্টিক্যাল অভিজ্ঞতাকে গ্রীক সর্বেশ্বরবাদী দর্শন থেকে আসা সুফিবাদে ফানাফিল্লাহ বলা হয়। সুফিদের ভাষায় ওই মেডিটেটিভ স্তরে গিয়ে সুফিসাধক আল্লাহর সাথে একাকার(ফানা) হয়ে যায়। সালাফি অনেক আলিম বলেন ওটা ফানাফিল্লাহ নয় বরং ফানাফিশাইত্বন(অর্থাৎ শয়তানের সাথে একাকার হওয়া।) এ ব্যপারে সালাফি আলিমগনের অবস্থান শুদ্ধ। এই মিস্টিক্যাল অভিজ্ঞতা আল আকিদাতুল ওয়াহদাতুল উজুদ-হুলুল ওয়াল ইত্তেহাদের বিশ্বাস হৃদয়ে সৃষ্টি করে। আহমাদ রেজা বেরেলভী সাহেবের অনুসারী সকল বুজুর্গগন এজন্য মেডিটেইশনে গুরুত্বারোপ করেন। তাদের অভিধানে সমস্ত প্যাগান কার্যক্রমের আরবি ভার্শণ আছে। আছে ষড়চক্র বা লাতাইফের যিকির, প্রনয়ানম, দমের সাধনা,মোরাকাবা ইত্যাদি। এগুলো তারা মারেফাত এর ইল্মের স্তরে রেখেছেন। অর্থাৎ ইল্মে মারেফাতুল্লাহর(আল্লাহর পরিচয়) নামে শয়তানের পরিচয়/দীদার লাভের শিক্ষা দিচ্ছে। বেরেলভী কারা যারা বোঝেন না তাদের বুঝতে সুবিধা হবে যদি বলি মেইনস্ট্রিম পীর-মুরিদগনের নেটওয়ার্ক।
যাহোক, অর্ল্টার্ড স্টেইট অব কনসাস্নেস শুধু সুডোসায়েন্টেফিক পরিমণ্ডলেই ছেয়ে আছে এমনটি নয়। আইজ্যাক নিউটন থেকে আইনস্টাইন প্রত্যেকেই চেতনার এই স্তরে পৌছতেন যাতে নতুন থিওরি প্রসব করতে পারেন। আইনস্টাইন চেতনার ওপারে যাবার প্রক্রিয়াকে নাম দিয়েছেন মাইন্ড এক্সারসাইজ! যখনই ওই স্তরে পৌছতেন, ফিরে আসতেন নতুন কোন থিওরি বা ইক্যুয়েশন নিয়ে।ম্যাটারকে ভাইব্রেটরি এনার্জেটিক ফিল্ডের তত্ত্বটিও এই হ্যালুসিজেনিক এক্সপেরিয়েন্স থেকেই এসেছে। এর প্রেক্ষাপটে আজ পদার্থবিজ্ঞানীগন বলছেন,Everything physical is really non physical!
এবার আসি,চেতনার ওপারে এমন কি হয় যার দরুন এরূপ মিস্টিক্যাল অভিজ্ঞতা সৃষ্টি হয়!?ব্যপারটা বোঝা খুবই সহজ। এসকল ড্রাগ বা এই (অল্টার্ড)মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা শয়তান জ্বীনদের একটা দরজা তৈরি করে দেয় Enlightenment seeker'দের মস্তিষ্কের উপর। শয়তান চাইলে ওদের জগতের সাথে মানব চেতনার সংযোগ ঘটাতে পারে। নিজের উপর নিয়ন্ত্রনহীনতার সময়ে শয়তান পুরোপুরি মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়। তখন শয়তানের ইচ্ছেমত স্বপ্নীল ঘোর সৃষ্টি করে যা ইচ্ছা দেখায়, অকৃত্রিম অনুভূতি সৃষ্টি করে। শয়তান জ্বীনদের ফিজিক্যাল ডাইমেনশন যেরূপ দেখতে সেইরূপ প্রজেকশন তৈরি করে মাথায়, অথবা সরাসরি জ্বীনদের চোখে ওদের জগত যেরূপ সেটাই মানব মস্তিষ্কে দেখায়। মেডিটেশনের মাধ্যমে একবারেই ওই পর্যায়ে পৌছানো একটু কষ্টসাধ্য। মেডিটেশন বা যোগ ধ্যানে এজন্য ধীরে ধীরে ওই অবস্থায় যাওয়া হয়। ইয়োগা প্র্যাক্টিশনাররা ধ্যানের এক এক ধাপকে চক্র বা এনার্জি এক্সেস পয়েন্ট সক্রিয় করা বলে। তারা কুণ্ডলিনী এনার্জিও বলে যা কিনা মানুষের গোপনাঙ্গের দিকে সুপ্তাবস্থায় থাকে, সেই এনার্জিকে ধীরে ধীরে জাগ্রত করে পেট,এরপরে বুক এরপরে গলা এবং সবশেষে মাথা পর্যন্ত উঠিয়ে নেওয়া হয়। মস্তিষ্কে সে এনার্জি পৌছানো তথা তাদের ভাষায় ক্রাউন চক্রকে সক্রিয়করনের দ্বারা যোগী আত্মউপলব্ধি লাভ করে বা সিদ্ধিলাভ করে। অর্থাৎ সে 'চেতনার ওপারে' পৌছে ইনফিনিট ওয়াননেস অনুভব করে। ওয়াহদাতুল উজুদ বা Monism এর আকিদা হৃদয়ে প্রোথিত হয়। ইতোপূর্বে থার্ড আই, ধ্যান নিয়ে আলোচনা করেছিলাম তাই আবারো একই কথায় ফিরতে চাই না[১]। যাইহোক,পরিষ্কার দেখছেন ধ্যানযোগে চেতনার ওপারে পৌছানো একটু কষ্টসাধ্য বিষয় কিন্তু hallucinogenic drugs/সাউন্ড ওয়েভ[১৫] দিয়ে খুব সহজেই পৌছানো যায়। ধ্যানের মাধ্যমে যে ব্যক্তি নিজের আসল অস্তিত্বের প্যান্থেইস্টিক স্বরূপ অনুভব করতে সক্ষম হয়, সেই লোক Know Thyself এর আসল হাকিকত বুঝতে পারলো। ঐ লোককে তখন এনলাইটেন্ড বলা হয়। আত্মসিদ্ধি লাভ করেছে। সুফিদের এক গুরু ওই অনুভূতি লাভ করেই আনাল হাক্ক(আমিই সত্য/আল্লাহ্) বলত। একইভাবে হিন্দু যোগীরা নিজেকেই পরমাত্মা বলে। আমার কাছে একজন বাবা লোকনাথের ব্যপারে কিছু তথ্য দিয়ে তার কথার ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন। তিনি খুব সম্ভবত ঈমানি ব্যপারে সন্দেহে নিপতিত হয়েছিলেন। লোকনাথ নিজেকে পরমাত্মা দাবি করত, তাছাড়া অনন্ত অসীম,সর্বত্রব্যাপী সৃষ্টিকর্তাও বলত এমনকি রনে বনে জঙ্গলে বিপদে পড়লে তাকে স্মরণ করার কথাও বলতেন(উইকিপিডিয়া)। তার এরূপ কথার ব্যাখ্যা আশা করি বুঝতে পারছেন। ওই চেতনার ওই স্তরে পৌছে তার মধ্যে প্যান্থেইস্টিক ধারনার সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য নিজেকে পরমাত্মা, সর্বত্রবিরাজমান ঈশ্বর দাবি করে।
আমাদের দেশের কোয়ান্টাম ম্যাথড চেতনার ওই স্তরে নিয়ে "গড রিয়েলাইজেশন" এর কোর্স করায় বলে জানিয়েছিল Law of attraction[২] এর প্রচার কারী এক শয়তান। যারা কোয়ান্টাম ম্যাথডের সাথে সম্পৃক্ত তারা "কমান্ড সেন্টার" টার্মের সাথে খুব পরিচিত। তিনি প্রথমে ভিজ্যুয়ালাইজ করতে বলেন এক ব্যক্তিকে, পরবর্তীতে আপনাআপনিই ধ্যানের মধ্যে এক লোক হাজির হয় যাবতীয় দিক নির্দেশনার জন্য। হয়ত এটাই সক্রেটিসের বলা Daemon! এসব ব্যপারে ওদের অফিশিয়াল কিতাবেই বিস্তারিত আছে।
প্রাচীন জংলি শামানরা গাছগাছড়া এবং মাশরুম দিয়ে চেতনার ওপারে যেত ওদের পূর্বপুরুষদের কথিত আত্মাদের সাথে যোগাযোগ এর জন্য। এই বিষয়টিকেই সুন্দরভাবে দেখিয়েছে ব্ল্যাক প্যান্থার মুভিতে। ফিল্মের নায়ককে একরকমের লতানো উদ্ভিদ পিষে খাওয়ানো হয় ঐতিহ্যগত কারনে মৃত পূর্বপুরুষের সাথে দেখা করার জন্য। ম্যাট্রিক্স ফিল্মেও শামানদের চিন্তাধারার প্রতিফলন রয়েছে। থাকাটাই স্বাভাবিক, কারন নির্মাতার পিতা একজন শামানিস্ট।

আম্রিকান হিপ্পিদের মধ্যে প্যাগান আধ্যাত্মিকতার বিশ্বাস সবচেয়ে বেশি কারন ওদের কাছে ড্রাগ ডালভাত। অনেক হতাশাগ্রস্ত বিষন্ন মাদকাসক্ত সাইকাডেলিক পান করে জীবনকে নতুন আঙ্গিকে দেখতে শুরু করে। এদের মধ্যেই এখন আধ্যাত্মিকতা বেশি। ওরা যে মেডিটেশনে যে থার্ড আই এ্যাক্টিভেশনের কথা বলে সে অবস্থায় পৌছবার আগেই 'চেতনার ওপারে' যেতে হয়। এ গোটা ব্যপারটি যে স্যাটানিক এতে কোন সন্দেহ নেই কারন বহু নিউএজার মেডিটেশন প্র্যাক্টিশনার ধ্যানের ঘোড়ে শয়তান জ্বীনদের ভয়ংকর চেহারাতেই দেখেছে। কেউ বা শয়তানের আক্রমনের স্বীকারও হয়েছে!
অসাধারন একটি টেস্টিমোনি দেখুন, যেখানে এক স্পিরিচুয়ালিস্ট চেতনার ওপার ভ্রমনের অভিজ্ঞতা বলছে সাইকাডেলিক ব্যবহারের পর,তিনি সেখানে অসংখ্য এলিয়েনদেরকে দেখে[৪]।তারা নাকি মানুষের উপকারী বন্ধু। এলিয়েন নিয়েও ইতোপূর্বে আলোচনা করেছি[৩]।

DMT[৫] কে স্পিরিচুয়াল কমিউনিটিতে Spirit Molecule বলেও ডাকা হয়। ওরাই বলে এটা নাকি সহজে স্পিরিটদের জগতে যাবার দরজার মত।ডিএমটিকে বলা হয় Dimethyltryptamine। এটা সবচেয়ে শক্তিশালী ড্রাগ যেটা গভীরভাবে চেতনাকে আচ্ছন্ন করে। মানুষ,কিছু প্রানী এবং কিছু গাছপালায় এই উপাদান পাওয়া যায়। ডিএমটি অন্য যেকোন হ্যালুসিনোজেনিক ড্রাগের চেয়ে শক্তিশালী। এক ম্যাথম্যাটিশিয়ান তার ডিএমটি ট্রিপ নিয়ে বলেন, ডিএমটি পান করে তিনি মাতাল অবস্থায় এমন এক জগতে পৌছান যেখানে শুধুই ফ্র্যাক্টাল কম্পিউটার গ্র্যাফিক্সের মত কিছু দেখতে পান। সেগুলো খুবই দ্রুতগতির ছিল। অর্থাৎ তার অস্তিত্বগত চেতনা ওইরকম জগতে যায়। তার মনে হয়েছে কোন ইন্টেলিজেন্স এন্টিটির ধারাবাহিক স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী সব হয়। অর্থাৎ এটা কারও দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আশপাশটা জীবন্ত প্রানী জাতীয় কিছু দ্বারা পরিপূর্ন। ম্যাজিক মাশ্রুম খুব গভীর কিছু দেখায় না, সেগুলো আমাদের অর্ডিনারি রিয়ালিটিকেই স্বাভাবিকভাবে দেখায়, পার্থক্য হচ্ছে সমস্ত বস্তুকে ভাইব্রেটরি এনার্জি মনে হয়। এলএসডি ব্যবহারে তিনি অনেক জিওমেট্রিক প্যাটার্ন দেখেন, যেগুলো দেখে মনে হয়েছে এগুলো কিছুটা ইউক্লিডীয়ান জিওমেট্রি[৬]। সুতরাং আজ আমরা যে ফ্রাক্টাল ম্যান্ডেলব্রটের ইনফিনিট এ্যানিমেশন/ম্যাথম্যাটিকস দেখতে পাই সেটা অরিজিন কি সেটা খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছে। সেদিন কম্পিউটারে লিনাক্স মিন্ট ইন্সটল করে অবাক হই, ওরা প্রোগ্রাম তালিকায় এটাকে ডিফল্টভাবে দিয়েছে।

ডাকোটা নামের জনৈক স্পিরিচুয়ালিস্ট(সাবেক নাস্তিক) সরাসরি ওই জগতে দেখা প্রানী বা ইন্টেলিজেন্ট বিংদেরকে সরাসরি Demon(শয়তান) বলেন। তার পরামর্শ হচ্ছে চেতনার ওই পর্যায়ে পৌছে তাদের কাছে নিজেকে সমার্পন করতে হবে, কমপ্লিট সাবমিশন অর্থাৎ পুরোপুরি আত্মসমার্পণ। ইগো বলে কোন কিছুই রাখা যাবেনা। তিনি বলেন, যারাই সাইকাডেলিক ট্রিপে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা লাভ করে তারা নিজেদেরকে সমার্পন করেনি ওই spirit being দের কাছে। তার এক বন্ধু আত্মসমার্পন না করায় মনে হয়েছে জাহান্নামের মধ্যে আটকে গেছে, পাজল্ড লুপের মধ্যে পড়ে গিয়েছে। ডিএমটি পান করে ডাকোটা অজস্র এলিয়েন বিংদের দেখেছে, তিনি বলেন এই ডিএমটি বিংদের সাক্ষাৎ লাভ খুবই একটা সাধারন ব্যপার। অনেকে এদেরকে স্পিরিট গাইড, এলিয়েন ইত্যাদি অনেক নামেই ডাকে। তিনি ওই অবস্থায় কিছু সর্পিল প্রানীদেরকে দেখেন যারা নাকি তার পেটেও প্রবেশ করে! তার মতে এই স্বত্ত্বারাই আমাদের ত্রিমাত্রিক জগতে ভূত বা শয়তান হিসেবে ম্যানিফেস্ট করে, শুধু মাত্র আমাদের ইগোর জন্য। এই বিং বা সত্ত্বা গুলো আমাদের অস্তিত্বের মতই সত্য। আমরা তাদের ভয় পাই বলে আমাদের নেগেটিভ ইন্টেনশন ওরা গ্রহন করে শক্তি পায় এবং পজেস করে। এদেরকে ভয় করা যাবে না, বরং গোটা রিয়ালিটি কিরূপ তা জানতে হবে নিজের অস্তিত্বের ব্যপারে আসলটা জানতে হবে, যখন নিজেদের ইগো থেকে সম্পূর্ন মুক্ত হওয়া যাবে তখন অশুভ বলে কোন কিছুই থাকবে না। তখন এই এলিয়েন বা স্পিরিট বিংদের কাছেও নিজেদের সমার্পনের মাধ্যমে তাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবার ধারনা থেকে বের হওয়া যাবে। আমরা যে ত্রিমাত্রিক সলিড রিয়ালিটি এবং বস্তু দেখি, সেসব আসলে মিথ্যা। এগুলো শুধুই মেন্টাল প্রজেকশন। রিয়ালিটির এই স্ট্যান্ডার্ড শুধুই মানব মস্তিস্কের ট্রান্সলেশনের ফল।গাছপালা, পশুপাখি, জড়বস্তু সমস্তকিছুর থেকে নিজের সত্ত্বাকে আলাদা মনে হয় বাহির থেকে, কিন্তু আসলে সবকিছু এক। এক অস্তিত্ব(ওয়াহদাতুল উজুদ)। এই ডিএমটি বিংরাই হচ্ছে বাইবেলে উল্লিখিত ডিমন(শয়তান)। আমরাই এই পার্থক্য এবং ভাল মন্দের,ঘৃনা ভালবাসার পার্থক্য তৈরি করছি ইগোর কারনে। আসলে ওই এলিয়েন বা স্পিরিট বিং আমার আপনারই অংশ। তাদেরকে মন্দভাবে ধরলে তারা আপনার কাছে মন্দভাবেই ধরা দেবে। খ্রিষ্টান ধর্ম এই ইগোই জাগ্রত করে। এই ইগোর মৃত্যু সম্ভব আত্মসমার্পনের মাধ্যমে [৭]। রিয়ালিটি আমাদের চোখের দেখা দৃশ্যের মত সলিড না বরং সব কিছু নন ফিজিক্যাল এনার্জেটিক। এই ত্রিমাত্রিক ম্যাটেরিয়াল জগতে যেরূপ সবকিছু আলাদা,আসল জগতে সব কিছু ইন্টারকানেক্টেড, এর থেকে অদ্ভুত এক ওয়াননেসের অনুভূতি জাগ্রত হয়। আমরা আছি একরকমের সিমুলেশনের মধ্যে[১৪]। তার মতে এই অভিজ্ঞতা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত কারন এটা সমস্ত ধর্মীয় মতবাদগত পার্থক্যকে ধবংস করে মানবতাকে এক করে। সবাইকে একক সত্যের(ওয়াহদাতুল উজুদের আকিদার) দিকে নিয়ে যায়।[৮]

সুতরাং আশাকরি পাঠকরা বুঝতে পারছেন সায়েন্টিফিক, ফিলোসফিক্যাল ফাউন্ডেশন কোথা থেকে এসেছে, কোথা থেকে ওয়াহদাতুল উজুদের আকিদা এসেছে, যেটায় আজ দেওবন্দি/কওমী আলিমরা পর্যন্ত বিশ্বাস করে। একদম খাটি স্যাটানিক এক্সপেরিয়েন্স থেকে এসব আকিদা ও বিশ্বাসব্যবস্থার উন্মেষ।
ট্যারেন্স ম্যাকানার ডিএমটি ট্রিপে সার্পেন্ট/রেপ্টিলিয়ান এবং টিকটিকি সদৃশ কিছু প্রানীদেরও দেখা হয়, এদের কেউ কেউ অসমম্ভব উন্নত সভ্যতা/প্রযুক্তির ধারক।ভিডিওতে সরাসরি শয়তান জ্বীনদেরকেই দেখানো হয়েছে[৯]। ম্যাকান্না খুব হতাশ এ ব্যপারে যে মানুষ কোটিটাকা খরচ করে এলিয়েনদের দেখা পেতে বর্হিজগতে খুজছে, অথচ এই জগতে দাড়িয়েই এলিয়েনদের দেখা পাওয়া যায়। আউটার স্পেস বাদ দিয়ে ইনার হায়ার ডিমেনশনাল স্পেস নিয়ে গবেষনা করা উচিত।

একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এই আউটার স্পেস ও এলিয়েন কন্সেপ্ট আসলে এই ইনার ডিমেনশনাল স্পেস থেকেই এসেছে। সাতটি ইউনিভারসাল হার্মেটিক প্রিন্সিপ্যাল এর একটি হচ্ছে As Above so below। অর্থাৎ ভেতর যা বাহির তাই, বাহির যা ভেতরও তাই। সে অনুযায়ী প্রাচীন প্যাগান ফিলসফাররা যখন এই স্পিরিচুয়াল রেল্ম ভ্রমন করে তখন তাদের মনে ম্যাক্রো পর্যায়েও একই কল্পনার অবতারণা ঘটায়। একইভাবে আউটার স্পেসে এলিয়েন ফ্যাণ্টাসিও একইভাবে আছে। ট্রান্সেনশন হাইপোথেসিস[১০] অনুযায়ী, এখন আর এলিয়েনদের খুজে না পাওয়ার কারন তারা উন্নত হতে হতে এখন আউটার স্পেসে এক্সিস্ট করা বাদ দিয়ে ইনার স্পেসে চলে গেছে। সুতরাং সাইকাডেলিক[১২] জার্নিতে দেখা শয়তানদেরকে এলিয়েন বললেও সমস্যা নেই।

শয়তান এর থেকে আসা অভিজ্ঞতাই আজকের জ্ঞান-বিজ্ঞান-দর্শনের কেন্দ্রবিন্দু এবং উৎস। হিন্দু বৌদ্ধ বৈষ্ণব(ধর্মচক্র) এবং সিক্রেট সোসাইটিগুলোর নিগূঢ় তত্ত্বের মূলভিত্তি[১৩]। সমগ্র বাতেনিয়্যাহ সম্প্রদায়গুলোর মূল ভিত্তি। আপনার কি মনে হয়, আজকে যে সিমুলেশন হাইপোথেসিস জেগে উঠেছে, হাশেম আল ঘাইলির মত সেলিব্রেটি বিজ্ঞানবোদ্ধারা ভিডিও ফিল্ম বানাচ্ছে, এসবের ভিত্তি কি[১৬]?

যাদুবিদ্যা,যাদুকরদের সাথে সাইকাডেলিক এক্সপেরিয়েন্সের গভীর সখ্যতা আছে। তাদের কুফরি দর্শন,বিশ্বাস এবং কর্মের ব্যপারে আত্মবিশ্বাসী এবং যাদুবিদ্যার কার্যনীতি বোঝার জন্য এই অভিজ্ঞতা লাভের বিকল্প নেই। শামান,উইক্কানরা স্পিরিট মলিকিউল বিভিন্ন গাছগাছড়া থেকে নিয়ে এরূপ হ্যালুসিনোজেনিক ড্রাগ তৈরি করে। এক হলিউড ফিল্মে চমৎকারভাবে দেখিয়েছিল এক লোকের মৃত স্ত্রীকে ফিরে পাবার জন্য এক ডাইনীর কাছে গিয়ে এরকম হ্যালুসিনোজেণীক ড্রাগ সেবন করে। একইভাবে "এ ডার্ক সং" ফিল্মে কাব্বালার চেয়েও ইন্টেন্স ম্যাজিক্যাল আর্ট ওয়ার্কের শরণাপন্ন হয় এক এক সন্তানহারা মা, সন্তানকে ফিরে পেতে। অবশেষে চেতনার ওপারে গিয়ে শয়তানের কাছে নিজেকে সমার্পন করে। চেতনার ওপারে গিয়ে উইচক্র্যাফট প্র্যাক্টিশনার রিয়ালিটিকে জ্বীন শায়াত্বীনের চোখে দেখতে পায়।

শয়তান জ্বীনজাতির কাছে ম্যাটারের সলিডিটি বলে কিছু নেই। এদের কাছে সবকিছুই এনার্জি। একজন উইচ বা সর্সারার চেতনার ওই ঘোরে গিয়ে বস্তু/মানুষ এবং প্রকৃতির সমস্তকিছুর মধ্যে ইন্টারকানেকশন দেখতে পায়, বায়ুমণ্ডলের যে ভ্যাকুয়াম আমরা আশপাশে দেখি, ওই অবস্থায় সেটার অনুপস্থিতি নিজেকে সৃষ্টিজগতের মধ্যে সচেতন স্বত্ত্বা ভাবায়। যেহেতু ইগো আমিত্বের বিশ্বাসকে ভেঙ্গে ফেলতে হয় এবং নিজের চেতনাকে সমগ্র এনার্জেটিক প্যাটার্নে দেখা সৃষ্টির চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ ভাবতে বাধ্য করে, তখন নিজের ইন্টেনশান বা অভিপ্রায় ব্যবহার করে প্রকৃতিতে পরিবর্তন ঘটানোর বিশ্বাস সৃষ্টি করে, তারা ন্যাচারকে হাইলি প্রোগ্রামেবল মনে করে। নিজেকে তখন ন্যাচারের পার্টিসিপেন্ট না রেখে নিজেই প্রকৃতিকে চালনা বা ম্যানিফেস্ট করবার সম্ভাবনা এবং বিশ্বাস জাগ্রত করে। অর্থাৎ প্রকৃতিতে প্রোগ্রাম হয়ে না থেকে নিজেই প্রোগ্রামার হয়ে প্রকৃতির নীতিতে হস্তক্ষেপ করে নিজের স্বার্থানুযায়ী কাজ করার বিশ্বাস তৈরি করে। তবে এসব অভিজ্ঞতা/অনুভূতির সবার আগে নিজেকে প্রকৃতি এবং শয়তান জ্বীনদের(DMT plasma being) কাছে আত্মসমার্পন করতে হবে। আমিত্ব বলে কিছু রাখা যাবে না, কোন ধর্ম বিশ্বাসে আবদ্ধ থাকা যাবে না। অর্থাৎ কাফির হতেই হবে। মারভেলের ডক্টর স্ট্রেঞ্জ মুভিতে সর্সারার সুপ্রীম ডক্টর স্টিভেন স্ট্রেঞ্জকে যাদুবিদ্যার প্রথমেই বলে, "আপনি নদীর স্রোতকে কিছুতেই পরাস্ত করতে পারবেন না। আপনাকে অবশ্যই ওর স্রোতকে ব্যবহার করতে হবে নিজের জন্য। এজন্য অবশ্যই আত্মসমার্পন করতে হবে", "Silent your ego, and your power will rise"। এজন্য সাধারন কেউ কাফির না হয়ে হাজার ইন্টেনশান আর রিচুয়াল করলেই যাদু সফল হতে হবে না। কুফরি করতে হবে। আল্লাহকে অস্বীকার করতে হবে। হয়ত যাদুবিদ্যা কুফরি হবার পিছনে এটা একটা কারন।অধিকাংশ যাদুকররা নির্বোধ হয়, এরা বিশ্বাস করে না যে "আন্নাল কুয়্যাতা লিল্লাহি জামিয়্যা"। ওরা তো সবার আগেই আল্লাহকে অবিশ্বাস করে কেননা ওয়াহদাতুল উজুদ,হুলুল, ইত্তেহাদ এদের কোর টেনেট। এরা নিজেরাই তো নিজেদের এবং প্রকৃতির ইলাহ মনে করে, মা'বুদ মনে করে। এদের আকিদাই হচ্ছে 'আনা আল হাক্ক', নাউজুবিল্লাহ্। এজন্য এক কাব্বালিস্ট র্যাবাইকে বলতে দেখি কাব্বালার অন্যতম শিক্ষা হচ্ছে নিজেকে জায়ান্ট বা তার চেয়েও ক্ষমতাশালী ভাবা, আমরা নাকি ফুল পটেনশিয়ালিটির ব্যপারে অজ্ঞ, যাদুকররা এ ব্যপারে অজ্ঞ না। আমরা আসলে সুফি মরমীদের কথা ও বিশ্বাসের আন্ডারলেইং তাৎপর্য বুঝিনা তাই অনেকে এদের কথায় বিভ্রান্ত হয়, কেউবা বিশ্বাস করে, কেউবা এদেরকে অন্ধভাবে সম্মান করে।
যাদুর ব্যপারে সত্য হচ্ছে কাফিররা যতকিছুই করুক না কেন, সব কিছুর পরিবর্তনকারী এবং সবকিছুর ক্ষমতা এক আল্লাহরই। যাদুও তারই নির্দেশ ব্যতিত কার্যকরী হয় না।

আজ মুসলিম উম্মাহর মধ্যেও প্যাগানিজমের প্রতি বেশ আকর্ষন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকে জ্ঞানী ভাব নেওয়ার জন্য কিংবা স্রেফ তাওহীদের অবিশ্বাসের দরুন ওয়াহদাতুল উজুদকে বেছে নিয়েছে। সুফিবাদের কথা না-ই বা বললাম। ওরা তো খাটি শয়তানি শিক্ষাকে আরবি শব্দে মুড়িয়ে শতশত বছর মুসলিমদের মধ্যে প্রচার করে চলছে। শয়তানের দেওয়া অনুভূতি অভিজ্ঞতাকে বানিয়েছে ফানাফিল্লাহ বাকাফিল্লাহ। শয়তানের সাথে সম্পর্ক, শয়তানের পরিচয়লাভের তরিকাকে বানিয়েছে ইল্মে মারিফাতুল্লাহ(মারেফাতের ইল্ম)। শয়তানের কাছে আত্মসমার্পনের জন্য এখন এসে গেছে কোয়ান্টাম ম্যাথড, যারা সরাসরি জানিয়ে শুনিয়েই অকাল্ট প্যাগান ফিলসফির প্রচার চালাচ্ছে। 'মুসলিম' শব্দের অর্থ আল্লাহর নিকট আত্মসমার্পনকারী। আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি ধ্যান/সাইকাডেলিক ড্রাগ প্রভৃতির দ্বারা সরাসরি শয়তানের নিকট আত্মসমার্পনের জন্য আহব্বান করা হয়। শয়তানের কাছে এবং সমস্ত প্রকৃতির কাছে আত্মসমার্পনের মাধ্যমে নিজেকে সৃষ্টিকর্তার অংশ মনে করাকে শেখানো হয়। অর্থাৎ এরা শুধু কাফিরই বানায় না, বরং সবচেয়ে নিকৃষ্টতম তাগুতে পরিনত করে। তাগুত হচ্ছে সে যে নিজেকে ইলাহ মনে করে, নিজেকে রবের আসনে বসায়।
وَعَنْ اَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ : «إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الْإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : মানুষের মধ্যে শয়তান (তার) শিরা-উপশিরায় রক্তের মধ্যে বিচরণ করে থাকে। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ২০৩৮, মুসলিম ২১৭৪, আবূ দাঊদ ৪৭১৯, আহমাদ ১২১৮২।
হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস
Ref:
১.
২.
৩.
৪.
৫.
৬.
৭.
৮.
৯.
১০.
১১.
১২.
১৩.
১৪.
১৫.
১৬.
১৭.
১৮.
C: AL IMRAN
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন