"যেই কথাগুলো আজকাল এসকল মাওলানা জোরেশোরে বলছেন, যাদের বিরোধিতায় গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ, এগুলো নতুন কোনো কথা নয়। হ্যাঁ, উপস্থাপনা নতুন, ভাষা নতুন, ধাঁচ নতুন, আঙ্গিক নতুন; কিন্তু কথাগুলো পুরোনো। ব্যক্তির ব্যক্তিগত চিন্তা-চেতনাগুলো বাদ দিয়ে মূল কথাগুলো যুগ-যুগ ধরে কিতালপন্থীদের মানহাজ, মাসলাক ও মাশরাব। এর ওপর ভিত্তি করেই তানজিমগুলো গড়ে উঠেছে। এর ওপরই অজস্র শুহাদার রক্ত ঝরেছে এবং ঝরছে। হানাফি, সালাফি; আশআরি-আথারি সকলে যূথবদ্ধ হয়ে এর ওপর বাইয়াতবদ্ধ রয়েছে। এগুলোর উসুল ও তাতবিক তথা নীতিমালা ও প্রয়োগ, উসুল ও ফুরু তথা মূল ও শাখা সবই তাদের থেকে গৃহীত হয়েছে। তাদের নির্দেশিকা অনুসারেই এসব পরিচালিত হয়েছে ও হচ্ছে। যদিও অধিকাংশ লোকই এসবের স্বরূপ সম্বন্ধে মোটেও অবগত নয়। তাদের পুঁজি শুধুই 'কিলা-কালা'।
হ্যাঁ, আজ যাদের টার্গেট বানানো হয়েছে, তারা কেবল নিজেদের ভাষায় এসব কথা ব্যক্ত করেছে, উপেক্ষিত বিধানের অপরিহার্যতার কথা ঘোষণা করেছে এবং নতুনভাবে এর সুর উচ্চকিত করেছে। এ অঞ্চলে অব্যক্ত পুরোনো কথার নতুন কথকরূপে আবির্ভূত হয়েছে। ভাষা, উপস্থাপনা, শব্দপ্রয়োগ ইত্যাদির দায় তাদের হলেও এগুলোর মূল কনসেপ্টের দায় কিতালপন্থী শত শত শাইখ-মাশায়িখদের। আমিরুল মুমিনিন, ইমামুল কিতাল ও মহান মুজাদ্দিদদের।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যে জিবরিলের দুশমন, সে আল্লাহরও দুশমন। কারণ, জিবরিল যা কিছু পৌঁছাচ্ছে, এগুলো তার উদ্ভাবিত নয়; বরং সে একজন দূত ও বার্তাবাহক বৈ কিছু নয়। অমুক আর তমুক মাওলানার ভূমিকা কেবলই ঘোষক ও উপস্থাপকের পর্যায়ে। সুতরাং তাদের বিরোধিতা শুধু তাদের ব্যক্তিসত্তার সঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এ যে গোটা এক মানহাজের বিরোধিতা, যেই মানহাজ এই একবিংশ শতাব্দীতে উম্মাহর ক্রান্তিলগ্নে মাজলুম ফরজ বিধানের হাল ধরে রেখেছে, যখন অন্যরা সবাই নিজেদের জীবন, পরিবার ও কর্মক্ষেত্র নিয়েই সন্তুষ্ট রয়েছে।
সুতরাং অমুক আর তমুক মাওলানার দিকেই সমগ্র ফোকাস ফেলা অর্থহীন। কারণ, তাদের উত্থানের আগেও এই মানহাজ ছিল। তারা দমে গেলেও এই মানহাজ থাকবে ইনশাআল্লাহ। তাদের অনুপস্থিতি কোনো শূন্যতাই সৃষ্টি করবে না। খোদ মুজাদ্দিদ রহ.-এর শাহাদাতই যেখানে কোনো শূন্যতা সৃষ্টি করতে পারেনি, সেখানে অন্যরা তো নস্যি। তাই বিরোধীদের প্রতি অনুরোধ থাকবে হুজুগেপনা ছেড়ে এসব বিষয়ে আরও স্বচ্ছ ধারণা হাসিল করে এরপর বিরোধিতায় নামার।
আরও সহজ করে বললে, এ দ্বন্দ্ব এমন দুই মানহাজের দ্বন্দ্ব; (১) যার একটিতে তাত্ত্বিক কিতাল থাকলেও প্রায়োগিক কিতালের অস্তিত্ব নেই। না বিগত কয়েক যুগে অস্তিত্ব ছিল আর না বর্তমানে রয়েছে। এ মানহাজের ধারকরা আল্লাহর নাজিলকৃত দুই শক্তি - কিতাব ও হাদিদের মধ্যে পার্থক্য করে ফেলেছে। প্রথমটাকে বহাল রেখে দ্বিতীয়টাকে নিষ্ক্রিয় ও অকার্যকর করে রেখেছে। গৌরবের প্রতীককে হীনতার সমার্থক বানিয়ে ফেলেছে। (২) আর অপর মানহাজে তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক কিতাল থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, কাজের স্বাধীনতা দূরের কথা বাকস্বাধীনতাটুকুও নেই, এমনকি প্রাণের নিরাপত্তাও নেই; উপরন্তু তাদের বিরোধিতায় সকলে যূথবদ্ধ। একমাত্র ইসলামের ভূমি ছাড়া বাকি সব জায়গায় তারা নিতান্ত অপরিচিত, যেন ভিনদেশি মুসাফির।
সর্বোপরি কথা হলো, মানহাজগুলো স্পষ্ট থাকা উচিত। এক্ষেত্রে চাপাবাজি ও দাগাবাজির আশ্রয় না নিয়ে প্রত্যেকের নিজেদের অবস্থা ও অবস্থান পরিষ্কারভাবে জাতির সামনে তুলে ধরা উচিত। কোনোপ্রকার ধোঁয়াশা, আচ্ছন্নতা, অস্পষ্টতা ও রাখঢাক ব্যতীত। এরপর সচেতন সুস্থ বিবেকবোধের অধিকারী জনসাধারণ নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কোন মানহাজ তাদের জন্য যুৎসই ও কালের বিচারে প্রয়োজনীয়। স্মর্তব্য, 'যা ফেনা, তা শুকিয়ে নিঃশেষ হয়ে যায়। আর যা মানুষের উপকারে আসে, তা জমিনে থেকে যায়।' দুই মানহাজ যদি তাদের বর্তমান দূরত্ব বজায় রেখে আলাদা আলাদা কর্মক্ষেত্রে এভাবে বিচরণ করতে থাকে, তাহলে সময়ই বলে দেবে, কাদের হম্বিতম্বি নিঃশেষ হওয়ার পথে আর কারা অমরত্ব লাভ করার পথে। আরেকটি বিষয় স্মর্তব্য, কেউ এখন হক হওয়ার অর্থ এটা নয় যে, চিরকাল সে হক থাকবে। সময়ের বিবর্তনে পরিবর্তন আসা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। একসময়ের মানহাজি যদি এখনের ফউমা হতে পারে তাহলে এখনের ফউমা কেন একসময় মানহাজি হতে পারবে না!"
- আলী হাসান ওসামা
.
.
"দোষকে ঘৃণা করো; দোষীকে নয়। ইলহাদকে ঘৃণা করো; মুলহিদকে নয়। রাসুলের শানে গালাগালিকে ঘৃণা করো; গালিদাতা শাতিমকে নয়। এটা একটা প্রচলিত ও পরিচিত উসুল।
.
.
"দোষকে ঘৃণা করো; দোষীকে নয়। ইলহাদকে ঘৃণা করো; মুলহিদকে নয়। রাসুলের শানে গালাগালিকে ঘৃণা করো; গালিদাতা শাতিমকে নয়। এটা একটা প্রচলিত ও পরিচিত উসুল।
আচ্ছা, এটাকে ঘুরিয়ে প্রয়োগ করলে কেমন হবে? যেহেতু যুক্তির দাবি উভয় ক্ষেত্রে অভিন্নই হওয়ার কথা।
গুণকে সম্মান করো; গুণীকে নয়। বৈশিষ্ট্যকে ভালোবাসো; তার ধারককে নয়। ইলমকে ভালোবাসো ও সম্মান করো; আলিমকে নয়। মানবতাকে মর্যাদা দাও; মানবকে নয়। বিয়েকে ভালোবাসো; বউকে নয়।
আচ্ছা, উপরিউক্ত মূলনীতি কি আদৌ মানা হয়, নাকি পছন্দমতো সেটা প্রয়োগ করে জান বাঁচানো হয়? নিচে দুয়েকটা দৃষ্টান্ত দিই।
চুরিকে ঘৃণা করো; চোরকে নয়। খুনকে ঘৃণা করো; খুনীকে নয়। ধর্ষণকে ঘৃণা করো; ধর্ষককে নয়।
এগুলো কি কেউ মানে? এই যেমন তাজা উদাহরণ, নয়ন বন্ডকে কি ঘৃণা করা হয়েছে নাকি তার খুনকে? বাস্তবতা তো হলো, খুনের কারণে ব্যক্তিকেই ঘৃণা করা হয়েছে। অর্থাৎ ঘৃণা প্রথমে সৃষ্টি হয় কাজের প্রতি। এরপর সেই কাজ যার দ্বারা বাস্তবায়িত হয়েছে, ঘৃণা ফিরে যায় তার প্রতি।
যদি বলা হয়, মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি। তাকে ঘৃণা করা সংগত নয়। তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন আসবে, মানুষের সকল কর্ম, বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি কার সৃষ্টি? এগুলোও তো আল্লাহরই সৃষ্টি। তাহলে এগুলোকে ঘৃণা করার কথা কেন বলা হচ্ছে? তবে কি আল্লাহর সৃষ্টিকে ঘৃণার শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে?
বস্তুত মুসলমানের ভালোবাসা ও ঘৃণা আল্লাহকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। আল্লাহ যাকে ভালোবাসতে বলেছেন, মুসলমান তাকে ভালোবাসে। আল্লাহ যাকে ঘৃণা করতে বলেছেন, মুসলমান তাকে ঘৃণা করে। এটা কার্যকর হয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে; বিশ্বাসশূন্য অপূর্ণ মস্তিষ্কপ্রসূত যুক্তির ভিত্তিতে নয়।"
-
আলী হাসান ওসামা.
.
"ভারতবর্ষে যখন ইংরেজদের বিরুদ্ধে আকাবির উলামায়ে দেওবন্দের তত্ত্বাবধানে লড়াই শুরু হয়েছিল, তখনকার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা অতীব প্রয়োজন।
সে সময় শাহ আবদুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলবি রহ. 'দারুল হারব'-এর ফাতওয়া জারি করেছিলেন। এই ফাতওয়ার ওপর এই অঞ্চলের সবার ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, আমার জানামতে এমন কোনো প্রমাণ নেই। হ্যাঁ, অনেকেই হয়তো মেনে নিয়েছিল। আবার অনেকে হয়তো ভিন্নমতও পোষণ করেছিল। থানবি রহ. তার যুগে ভারতবর্ষকে দারুল আমান ফাতওয়া দিয়েছিলেন এবং সেখানে লড়াইকে নিষিদ্ধ বলে ফাতওয়া জারি করেছিলেন। যদিও তখনো ভারত ছিল ব্রিটিশদের অধীনে, সেখানে ইসলামি শরিয়াহ প্রতিষ্ঠিত ছিল না, ছিল না রাষ্ট্রে মুসলমানদের বিজয় ও প্রাধান্য, ছিল না ইসলামের সব বিধান মান্য করা ও পালন করার অবাধ সুযোগ।
লড়াইয়ের সূচনাকালে থানাভবনকে দারুল ইসলাম হিসেবে গণ্য করে আমিরুল মুমিনিন হিসেবে নির্ধারণ করা হয় সায়্যিদুত তায়িফাহ হাজি ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মাক্কি রহ.-কে, প্রধান সেনাপতি বানানো হয় কাসিমুল উলুম ওয়াল খায়রাত আল্লামা কাসিম নানুতবি রহ.-কে এবং প্রধান বিচারপতি বানানো হয় ফাকিহুন নাফস রশীদ আহমদ গাঙ্গুহি রহ.-কে।
এ থেকে বোঝা যায় :
(ক) সে যুদ্ধ ছিল প্রতিরোধ যুদ্ধ এবং প্রাথমিকভাবে তার লক্ষ্য ছিল শরিয়াহ প্রতিষ্ঠা।
(খ) প্রতিরোধ যুদ্ধের জন্য আমির প্রয়োজন। কারণ, যুদ্ধ একক কাজ নয়; দলবদ্ধ কাজ। আর দলবদ্ধ কাজে আমির না থাকলে শৃঙ্খলা ব্যাহত হয়। যদি দারুল ইসলামের আমির সরাসরি নিজে তত্ত্বাবধান করেন তাহলে তো সবচে ভালো। আর যদি যেকোনো কারণে তা সম্ভব না হয় তাহলে নিজেদের পক্ষ থেকে কাউকে আমির হিসেবে নির্ধারণ করে হলেও লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে সকলের মধ্যে একতা প্রতিষ্ঠা করা গেলে ভালো। একান্ত তা যদি না-ও হয়, তবুও বিক্ষিপ্তভাবে হলেও লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আর মুতাআখখিরিন ফকিহদের মতানুসারে বর্তমান বিশ্বকে একই আমিরের অধীনে আনা সম্ভব না হলে একাধিক আমির থাকতে পারে এবং প্রত্যেক আমিরের অধীন আলাদা শরিয়াহভিত্তিক দাওলা হতে পারে।
(গ) সমগ্র জমিন আল্লাহর। কেউ এটাকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বিভক্ত করতে চাইলেও তা বিভক্ত হয় না, আল্লাহর আওতা থেকে বেরিয়ে যায় না। জমিনের যেকোনো অংশের ওপর তামাক্কুন প্রতিষ্ঠা করে সে অংশে ইসলামি বিধিবিধান বাস্তবায়ন করলেই তা দারুল ইসলাম হয়ে যায়। এর জন্য বিশাল চৌহদ্দি ও অনেক বড় সীমানার অপরিহার্যতা নেই। অন্যথায় থানাভবন এলাকা আর কতটুকুই বা বড়! তৎকালীন মদিনাও বা কত বড় ছিল! যে যেখান থেকে লড়াই সূচনা করবে, তার জন্য উচিত প্রথমে সেই অঞ্চলে শরিয়াহ প্রতিষ্ঠা করা; যাতে করে দারুল ইসলামের একটা রোলমডেল সবার সামনে থাকে এবং আল্লাহর নুসরতও শামিলে হাল হয়।
(ঘ) প্রতিরোধ যুদ্ধ হয়ে থাকে সাধ্য ও সামর্থ্য অনুসারে। আমাদের আকাবিররা যে সময় লড়াই করেছিলেন, সে সময় তাদের হাকিকি কুদরত কতটুকু ছিল? সংখ্যায় বা শক্তিতে তারা কি আদৌ ইংরেজ ও তাদের অনুগামীদের সমমানের বা কাছাকাছি ছিলেন? এতদ্সত্ত্বেও লড়াই কীভাবে হলো? আর যারা এ অঞ্চলে লড়াই করেছিল, তারা সবাইও কি আদৌ এক আমিরের অধীনে বাইয়াতবদ্ধ হতে পেরেছিল? এমন কোনো অপরিহার্যতার ফাতওয়াও কি আকাবিরদের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছিল? তাহলে অর্থ দাঁড়াচ্ছে, প্রতিরোধ যুদ্ধ যখন ফরজে আইন হয়ে যায়, তখন প্রত্যেক ব্যক্তি তার সামর্থ্যে যা কিছু আছে, তা নিয়েই ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়বে। হাকিকি কুদরত আর ওহমি কুদরতের প্রসঙ্গ এখানে আসবে না।
(ঙ) উসমানি সালতানাতের সরাসরি তত্ত্বাবধান ছাড়া আলাদা আমিরের অধীনে নিজেদের রূপরেখা অনুযায়ী লড়াই করে তারা ভারতবর্ষকে দারুল হারব থেকে বের করে পুনরায় দারুল ইসলামে রূপান্তরিত করতে চেয়েছেন; যার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে থানাভবনকে দারুল ইসলাম বানিয়ে নিয়েছেন। লড়াই যে তারাই প্রথম শুরু করেছেন, বিষয়টা তা-ও নয়। তাদের পূর্বেও লড়াই হয়েছে। ইসমাইল শহিদ ও আহমদ শহিদরাও তাদের হাতে বাইয়াতবদ্ধ ছিলেন না। সেসব লড়াইয়েও আলাদা আমির ছিল। তারাও যে তুরস্কে গিয়ে ইজাযত এনেছেন এবং তাদের তত্ত্বাবধানে থেকে লড়াই করেছেন, এমন প্রমাণও নেই। পুরো ২০০ বছরের ইতিহাস ঘাঁটলে বেরিয়ে আসবে এমন অনেক আমিরের সন্ধান, দিফায়ি লড়াইয়ে ভিন্ন ভিন্ন ফ্রন্টে যারা ইমারাহ করেছেন। তাদের অনেকের ব্যাপারে উসমানি সুলতানদের হয়তো কোনো নলেজও ছিল না। এতদ্সত্ত্বেও এসবের ব্যাপারে কোনো অবৈধতার ফাতওয়া গোলাম আহমদ কাদিয়ানি ছাড়া কেউ জারি করেছিল বলে আমার জানা নেই।
আকাবিরদের জীবনীর এসব দিক নিয়ে কি আমরা আদৌ ভাবি না? অন্যথায় আমাদেরকে যেসব উসুল শেখানো হয়, তার আলোকে তো এগুলোকে বৈধ ভাবার কথা নয়।”
-আলী হাসান ওসামা



মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন